আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় সে এই ‘শক্তিশালী পাল্টা আঘাত’ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, হামাস যুদ্ধে নিহত এক বন্দির আংশিক দেহ বিশেষ ফিরিয়ে দিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাসের বিরুদ্ধে এই ঘটনা নিয়ে ‘অভিনয়’ করার অভিযোগ তুলেছে এবং এ নিয়ে ১৪ মিনিটের একটি ড্রোন ভিডিও প্রকাশ করেছে।
হামলার প্রতিশোধ হিসেবে হামাস জানিয়েছে, তারা আরেক বন্দির দেহ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করবে।
এদিকে এশিয়া সফরে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। আরও বলে, হামাসকে ঠিকভাবে আচরণ করতে হবে—নইলে তারা নিশ্চিহ্ন হবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানায়, রাফাহ শহরে গোলাগুলির সময় ৩৭ বছর বয়সী মাস্টার সার্জেন্ট ইয়োনা এফ্রেইম ফেল্ডবাউম নিহত হয়। সে মার্কিন নাগরিকত্বও ধারণ করত।
হামলার সময় ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের টানেল ও স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করছিল।
হামাস দাবি করেছে, রাফাহ শহরের ওই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা ইসরায়েলের বিমান হামলাকে ‘যুদ্ধবিরতির প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, হামলার আগে ইসরায়েল ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় হামাসের ৩০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, তবে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
ভোরে স্থানীয়রা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেন। শিশুটিকে আলতোভাবে কাপড়ে জড়িয়ে নেওয়া হয়। আমনা কিরিনাউই নামে এক বেঁচে যাওয়া নারী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘এ কেমন যুদ্ধবিরতি?’
 
             
             
                                         
                                         
                                         
                                        
Your Comment